সংস্কার কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন
প্রকাশিত : ২১:৪৯, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ২১:৫১, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তারা এই সমর্থনের কথা জানান।
সাক্ষাতে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা বিষয়েও আলোচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র মিশনের প্রধান ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতা ও সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এই সংকট মোকাবিলায় আপনার নেতৃত্ব প্রশংসার দাবিদার।”
যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল এ. চুলিক বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুকে একটি বড় আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে দেখার আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত বাস্তবমুখী ও দূরদর্শী।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে ফেরত পাঠানোর জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে উপযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
আলোচনায় আঞ্চলিক সহযোগিতা, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের প্রসঙ্গও উঠে আসে। এসব ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইতিবাচকভাবে দেখা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক সবসময়ই ঘনিষ্ঠ ও ইতিবাচক। আমরা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করে যাব—এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।”
তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রোহিঙ্গাদের জন্য পুনরায় সহায়তা চালুর সিদ্ধান্ত এবং পাল্টা শুল্ক আরোপে ৯০ দিনের বিরতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাব এবং একসঙ্গে কাজ করব একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে।”
এসএস//
আরও পড়ুন